Ticker

5/recent/ticker-posts

Ad Code

আকাশে রক্তিম চাঁদ কখন, কীভাবে দেখা যাবে

 


রাতের আকাশে দেখা যাবে বিরল এক দৃশ্য। আজ বৃহস্পতিবার ১৩ ও আগামীকাল শুক্রবার ১৪ মার্চ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে। এ সময় গাঢ় তাম্রবর্ণ ধারণ করবে চাঁদ। একে বলা হচ্ছে ‘ব্লাড মুন’ বা ‘রক্তিম চাঁদ’। তবে পৃথিবীর সব স্থান নয়, এবারের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে শুধু পশ্চিম গোলার্ধ থেকে।

কীভাবে দেখা যাবে রক্তিম চাঁদ

বলা চলে মহাকাশের ঘটনাগুলোর মধ্যে চন্দ্রগ্রহণ অবলোকন করা সবচেয়ে সহজ। ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আকাশের দিকে তাকালেই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়, টেলিস্কোপ বা বাইনোকুলার না হলেও চলে। তবে টেলিস্কোপের সহায়তা নিলে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের পৃষ্ট আরও ভালোভাবে উপভোগ করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসার পরামর্শ হলো অন্ধকার কোনো এলাকা থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা। এতে করে চন্দ্রগ্রহণ আরও উজ্জ্বলভাবে দেখা যায়। শহরের আলোর কারণে আলোদূষণ হয়ে থাকে। এতে করে চন্দ্রগ্রহণ উপভোগে সমস্যা দেখা দেয়।

চাঁদ কেন লাল দেখায়

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ লাল বা কমলা রং ধারণ করে। এই চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্যের যেটুকু আলো চাঁদে পৌঁছায়, সেই আলো প্রথমে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। এই অতিক্রমের সময় বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণা, পানির কণা ও গ্যাসের সঙ্গে ধাক্কা খায় সূর্যের আলো। এর ফলে ‘রেইলি বিচ্ছুরণ’–এর ঘটনা ঘটে।

সূর্যরশ্মি সাতটি রঙের আলো নিয়ে গঠিত। রেইলি বিচ্ছুরণের সময় সূর্যের সাতটি রঙের আলোর মধ্যে যে রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি, সেটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাধা অতিক্রম করে চাঁদে পৌঁছাতে পারে। আর যে রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম, সেটি চাঁদে পৌঁছানোর আগেই বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

সূর্যরশ্মির সাতটি রঙের আলোর মধ্যে বেগুনি রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম এবং লাল রংয়ের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। এর ফলে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্যের লাল রঙের আলো চাঁদে পৌঁছাতে পারে এবং সেই আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে এসে পড়লে আমরা রক্তিম চাঁদ দেখতে পাই।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ কী

পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের ঠিক মাঝামাঝিতে অবস্থান করে, তখন সূর্যের আলো চাঁদে পৌঁছানোর আগে পৃথিবীর ওপর বাধা পায় এবং পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের পৃষ্ঠের ওপর, এ সময় চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই চন্দ্রগ্রহণের প্রধানত তিনটি ধরন রয়েছে। সেগুলো হলো—

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ: এই চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ার আড়ালে চলে যায়। এ সময় চাঁদ লালচে রং ধারণ করে।

আংশিক চন্দ্রগ্রহণ: চাঁদের একটি অংশের ওপর যখন পৃথিবীর ছায়া পড়ে, তখন আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হয়। চাঁদের পৃষ্ঠের ওপর পৃথিবীর ছায়া ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং পরে তা কমে যায়। তবে পুরো চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার আড়ালে চলে যায় না।

উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ: এই চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ সরাসরি পৃথিবীর মূল ছায়ার ভেতরে থাকে না। বরং ছায়ার বাইরের অংশ বা উপচ্ছায়ার ভেতর দিয়ে যায়। এর ফলে চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে কম উজ্জ্বল দেখায়।


Post a Comment

0 Comments