বাংলাদেশে সম্প্রতি ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণে পরিচালিত হয়।
এ ঘটনায় জড়িত পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীদের প্ল্যাটফর্ম 'ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ'। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অন্য পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে প্ল্যাটফর্মটি।
অন্যদিকে, পুলিশ এ ঘটনার জন্য উল্টো বিক্ষোভকারীদের দুষছে। পদযাত্রার নামে পুলিশের ওপর "পরিকল্পিতভাবে" হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদযাত্রা:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে পদযাত্রা শুরু করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ও শাহবাগ হয়ে আবার সেখানে ফিরে আসে। সমাবেশে নেতারা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন এবং ধর্ষণবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহ্বান জানান【6】।
পুলিশি বাধা ও প্রতিক্রিয়া:
একটি পদযাত্রা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন যে, যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ তাদের আঘাত করেছে। প্রতিবাদকারীরা নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন【7】।
দাবি ও সমাধানের আহ্বান:
প্রতিবাদকারীরা ধর্ষণের বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, প্রান্তিক নারীদের জন্য সহায়তা হটলাইন, পাঠ্যপুস্তকে যৌন শিক্ষা অন্তর্ভুক্তি এবং পাহাড়ি নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো ১৩টি দাবি উত্থাপন করেছেন【9】।
সমর্থন ও প্রতিক্রিয়া:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল বলেন, প্রকৃত অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, তবে নিরপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পায়, সেটিও নিশ্চিত করা জরুরি【10】।
এই আন্দোলনটি দেশে নারী নির্যাতনবিরোধী কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার দাবি তুলেছে এবং ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করেছে।
0 Comments
Please don't enter any spam link in the comment box.