Ticker

5/recent/ticker-posts

Ad Code

বাংলাদেশের সকল নেতাদের বেতন।


০১৫ সালে এই কাঠামো অনু’মোদন করে সরকার। কাঠামো অনুযায়ী অষ্টম জাতীয় বেতন,বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের সর্বোচ্চ মূল বা  ‘বেসিক’ বেতন ৭৮ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন ৮২৫০ টাকা। 


জেনে নেয়া যাক কাঠামো অনুযায়ী কার বেতন কতঃ-


রাষ্ট্রপতিঃ


রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর। অতীতে দেখা গিয়েছে যে, শাসক দলের মনোনীত প্রার্থীই রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। অনেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। আগে রাষ্ট্রপতি বেতন পেতেন ৬১ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির মূল বেতন মাসে এক লাখ ২০ হাজার টাকা।


প্রধানমন্ত্রীঃ


প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী পরিষদ শাসিত শাসন ব্যবস্থায় সরকার প্রধান হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাছাড়া তিনি এই ব্যবস্থাতে সংসদ বা সংসদের নেতার ভূমিকাও পালন করেন। অনেক শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের নিয়োগ বা বহিষ্কার করার অধিকারও রাখেন। প্রধানমন্ত্রী পেতেন ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা। এখন থেকে তিনি পাবেন মাসে এক লাখ ১৫ হাজার। মাসিক বাড়ি ভাড়া এক লাখ টাকা, প্রধানমন্ত্রীর দৈনিক ভাতা তিন হাজার টাকা।


স্পিকারঃ


 স্পিকার হলেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সভা পরিচালক বা প্রিসাইডিং অফিসার। আগে স্পিকারের বেতন ৫৪ হাজার ৮০০ টাকা পার্লামেন্ট স্পিকারের বর্তমানে বেতন পান ১ লাখ ১২ হাজার টাকা।


প্রধান বিচারপতিঃ


প্রধান বিচারপতি (ইংরেজি: Chief Justice) হল বিচারর বিভাগ রয়েছে এমন বেশ কিছু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের প্রিজাইডিং সদস্যের পদ। প্রধান বিচারপতি বর্তমানে বেতন পান ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।


হাইকোর্টের বিচারকঃ


বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ অধ্যায়ে সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে আইনি বিধান রয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারকরা মাসে বেতন পান ৯৫ হাজার টাকা।


মন্ত্রীঃ


একটি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কার্যনির্বাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় সংসদের নিকট দায়বদ্ধ থাকেন। বর্তমানে বাংলাদেশের মন্ত্রীদের বেতন ১ লাখ ৫ হাজার। এ ছাড়া ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলের নেতা, চিফ হুইপ একই বেতন পান। 


সংসদ সদস্যঃ


সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। বর্তমানে সংসদ সদস্যদের মাসিক বেতন ৫৫ হাজার টাকা।


তিন বাহিনীর প্রধানঃ


সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানের নির্ধারিত বেতন বর্তমানে ৮৬ হাজার টাকা। 


প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, একজন মন্ত্রী বাড়ি ভাড়া পাবেন ৮০ হাজার টাকা এবং প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পাবেন ৭০ হাজার টাকা করে। এছাড়া মন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিল ৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে হচ্ছে ১০ লাখ টাকা; প্রতিমন্ত্রীর তহবিল ৩ লাখ টাকা থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা এবং উপমন্ত্রীর তহবিল ৩ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা। মন্ত্রিসভার সব সদস্যের বিমান ভ্রমণের বীমা কভারেজের টাকা ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। মন্ত্রীদের দৈনিক ভাতা ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা এবং প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর দৈনিক ভাতা ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

তবে সরকার মন্ত্রী-এমপিদের বেতন ঠিক করতে নিরপেক্ষ কমিশন তৈরি করলেই ভালো করতেন। ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সের বেতন স্বাধীন সংস্থাই ঠিক করে। ব্রিটেন ছাড়া ভুটান ও নামিবিয়াতেও একই প্রথা চালু রয়েছে। ভারতও সম্প্রতি কমিশনের মাধ্যমে সদস্যদের বেতন নির্ধারণের প্রক্রিয়া চালু করেছে।

গাজীপুরের এক কৃষক জানিয়েছেন, ফুলকপি আর টমেটো আবাদ করে তার এখন পথে বসার যোগাড়। তিনি ফুলকপি বিক্রি করছেন ৮ থেকে ১০ টাকায়। আর টমেটো ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি দরে। অথচ প্রতিটি ফুলকপি উৎপাদন করতে তার উৎপাদন খরচ ছিল ১৫ টাকা এবং এক কেজি টমেটোর জন্য ছিল প্রায় ২৫ টাকা। এ রকম উদাহরণ শুধু এক টমেটো বা ফুলকপির ক্ষেত্রে নয়। আর তা শুধু গাজীপুরের চিত্রও নয়, গোটা দেশেরই।


Post a Comment

0 Comments