Ticker

5/recent/ticker-posts

Ad Code

কোথায় কখন কি বলা সুন্নাহ্‌ ?



প্রত্যেকের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কোরআন সুন্নাহর উপর আমল করা অপরিহার্য কর্তব্য।

আজ আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ সম্পর্কে জানবো। কোথায় কখন কি বলা সুন্নাহ্‌ ?

👉 আল্লাহ তা’আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলা ।          স্বাভাবিকের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরণের কোন কথা শুনলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা। -         (বুখারীঃ ৬২১৮)

👉 ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার          সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করে । -(বুখারীঃ ৫৩৭৬)

👉 কারো হাঁচি আসলে ”আলহামদু লিল্লাহী ‘আলা কুল্লী হা-ল” বলা। কমপক্ষে "আল-হামদুলিল্লাহ" বলা।
     (জামে আত তিরমিযীঃ ২৭৪১)

👉 কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে “না’উজু বিল্লাহ” বলা। -(বুখারীঃ ৬৩৬২)

👉 উপরে উঠার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা এবং নিচে নামার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা। -(বুখারীঃ ২৯৯৩)
     (সিড়ি/লিফটে উপরে ও নীচে উঠানামার আমল)

👉 কথা প্রসঙ্গে কোন গুনাহর কথা বলে ফেললে, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলা । -(সূরা মুহাম্মদঃ ১৯)

👉  কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শুভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা। (ইবনে মাজাহঃ ৩৮০৫)

👉 নিশ্চিতভাবে না জেনে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে ‘ওয়াল্লাহু আ'লাম বলা। -(বুখারীঃ ৫৫৭০)

👉 কোন বিজয় লাভ করলে কিংবা বিজয় লাভের আশায় উচ্চকন্ঠ আকুতিভরা ডাক দিলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলা । -(বুখারীঃ ৬১০)

👉 কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোন কাজ হলে তার বদলে শুকরিয়া জ্ঞাপনে ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলা। -(বুখারীঃ ৩৩৬)

👉 ভবিষ্যতে কোন কিছু করবে বললে ‘ইন শা আল্লাহ’ বলা । -(আল কাহাফঃ ২৩-২৪)

👉 কোন কিছু জবেহ করার সময় ‘বিসমিল্লাহী ওয়া আল্লাহু আকবর’ বলা। -(মুসলিমঃ ৫০৮৮)

👉 কোন বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোন খারাপ বা অশুভ সংবাদ শুনলে, কোন কিছু হারিয়ে গেলে, কোন কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোন কষ্ট পেলে ‘ইন্না লিল্লাহ’ বলা। –(মুসলিমঃ ২১২৬)

👉 কোন হাঁচি দাতার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে শুনলে- ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা। -(বুখারীঃ ৬২২৪)

👉 ভালো যে কোন কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে ‘মা-শা আল্লাহ’ বলা। -(মুসলিমঃ ৩৫০৮)

আরো  কিছু কথার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ঃ-

আস সালামু আলাইকুম :-      কারো সাথে দেখা হলে- হাই, হ্যালো না বলে বলুন- আস সালামু আলাইকুম (আপনার উপর মহান আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক)

মাশা আল্লাহ:-   মাশা আল্লাহ শব্দের অর্থ, আল্লাহ যেমন চেয়েছেন। এটি আল হামদুলিল্লাহ শব্দের মতোই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অর্থাৎ যে কোনও সুন্দর এবং ভালো ব্যাপারে এটি বলা হয়। যেমন, মাশা আল্লাহ তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছো।

নাউযুবিল্লাহ:-    নাউযুবিল্লাহ শব্দের অর্থ, আমরা মহান আল্লাহর কাছে এ থেকে আশ্রয় চাই। যে কোনও মন্দ ও গুনাহের কাজ দেখলে তার থেকে নিজেকে আত্ম-রক্ষার্থে এটি বলা হয়ে থাকে।

আসতাগফিরুল্লাহ:-   আসতাগফিরুল্লাহ শব্দের অর্থ আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। অনাকাঙ্ক্ষিত কোন অন্যায় বা গুনাহ হয়ে গেলে আমরা এটি বলবো।

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ:-     অর্থ; মহান আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা ছাড়া আর কোন আশ্রয় ও সাহায্য নেই। শয়তানের কোন ওয়াসওয়াসা বা দুরভিসন্ধিমূলক কোন প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য এটি পড়া উচিত।


কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী চলাই হল সরল পথ। মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান পবিত্র কোরআন-সুন্নায় রয়েছে। আর যারা কোরআন সুন্নাহ অনুযায়ী নিজেদের জীবনকে সাজিয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই সফলকাম হয়েছেন। 
মহান আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) এর সুন্নাহ অনুযায়ী চলার তৌফিক দান করেন। 






Post a Comment

0 Comments