সংসারে শান্তি চাইলে কখনোই সাবেক প্রেমিকা বা স্ত্রীর কথা মনে করিয়ে দেবেন না তাকে। অভিমানের বাষ্প এমন রূপ নেবে যে নিজেই নিশ্বাস নিতে পারবেন না। স্বস্তি চাইলে সব ভুলে যান।
বাহ্যিক সৌন্দর্য
তোমাকে কেমন জানি দেখাচ্ছে, সুন্দর করে সাজতে পারো না—এ ধরনের কথা স্ত্রী কেন, ছোট শিশুদের বললেও মনে কষ্ট পাবেন তারা। বিশেষ করে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে তুলনা করলে স্ত্রীকে অপমান করা হয়। বাহ্যিক সৌন্দর্য সবকিছু নয়, মনের সৌন্দর্য খুঁজে দেখার চেষ্টা করুন।
আমার মায়ের মতো হও
স্ত্রীর রান্না যদি কখনো ভালো না হয় তবে ভুলেও বলবেন না রান্না ভালো হয়নি। মায়ের কাছ থেকে শিখে নিয়ো। সাধারণত স্ত্রীরা এ ধরনের কথা মেনে নিতে পারেন না।
খাওয়া
স্ত্রীর খাবার খাওয়া নিয়ে স্বামী দু-চারটা কথা বলেন অনেক সময়। তবে কোনো মানুষকে তার খাওয়ার বিষয়ে কিছু বলা উচিত নয়। কেউ বেশি খান, কেউ কম—একেক জনের খাদ্যাভ্যাস একেক রকম।
কিছু তো করতে পারো না
অনেক স্বামীর মুখে এ ধরনের কথা শোনা যায়। গৃহিণী তো বটেই, নিস্তার মেলে না কর্মজীবী নারীরও। সহযোগিতা না করে ঘরে ফিরে কোনো কোনো স্বামী বলেন, অন্যের বউ সবই সামলায়। তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না। তোমার মায়ের মতো হয়েছো।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বন্ধুর মতো হবে। তারা সব সময় নিজেরদের ভালোলাগা ও মন্দলাগার কথাগুলো নিজেদের বলে থাকে।আর ভালো স্বামী বা স্ত্রী বিপদে এক অপরকে ছেড়ে যান না।
স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে সব কথা অকপটে বলতে পারবেন। হিসাব করে তো স্ত্রীকে কেউ কথা বলেন না। তবে কিছু কথা না বলাই ভালো, যা আপনার দাম্পত্যে ঝামেলা সৃষ্টি করবে।
আসুন জেনে নেই স্ত্রীকে যেসব কথা কখনোই বলবেন না।
অন্যের স্ত্রী সঙ্গে তুলনা
নিজের স্ত্রীকে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে কখনোই তুলনা করবেন না। যদি স্ত্রীকে বলেন তুমি অমুকের বউয়ের মতো না। এ কথা শোনার পর স্ত্রী অভিমান করতেই পারে। হয়তো মুখ ফুটে বলবে না। তবে মনে মনে ক্ষোভ রয়ে গেল, যা পরবর্তীতে সংসারে অশান্তি ডেকে আনবে।
খোঁচা দিয়ে কথা
স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ছোট করে, খোঁচা দিয়ে কথা বলে একধরনের বিকৃত আনন্দ পান। নিজের স্ত্রীকে ছোট করলে নিজেকেও ছোট হতে হয়। এটা অনেকে বুঝতে পারেন। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার ভারসাম্য থাকা দাম্পত্যে জরুরি।
0 Comments
Please don't enter any spam link in the comment box.